
চট্টল সময় ডেক্স ঃ
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের আওতাধীন মইশকরম ওয়ার্ড শাখা, প্রবাসী ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আজিমুশশান ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) মাহফিল হযরত রুস্তম শাহ্ (রহঃ) জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মইশকরম ওয়ার্ড শাখার উপদেষ্টা মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আলী হায়দার শাহ -এর সভাপতিত্বে
মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ইসলামি আলোচক ও ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মুফতি মনিরুজ্জামান আল কাদেরী। মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন হাটহাজারী ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মঈনিয়া কামিল মাদ্রাসার ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান আল্লামা কাজী শফিউল আজম আল কাদেরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ দক্ষিণ রাউজান শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আবু বক্কর সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হানিফ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজুল ইসলাম চৌধুরী,
গাউছিয়া কমিটি পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, হযরত রুস্তম শাহ (রহ) জামে মসজিদের সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন তালুকদার,হাফেজ মোঃ এহসান,মাওলানা জাহাঙ্গীর,মাওলানা জাহেদ,হাফেজ আব্দুল হাকিম, সুজন শাহ, তসলিম শাহ, তানভীর শাহ, হাফেজ সোলায়মান,হাফেজ সাকিব,হাফেজ ফয়সাল,হাফেজ সাজ্জাদ প্রমূখ। মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, মো: তসলিম শাহ,মোঃ তানভীর শাহ,মোঃ সোলাইমান,মোঃ সিহাব শাহ,মোঃ সাব্বির শাহ,মোঃ আবেদ শাহ,মোঃ সাইফু,আনিস,রহিম শাহ, মোঃ জসিম, টিটু,মোঃ আকিব,মোঃ আদিল, মোঃ সামির, মোঃ মহসিন, মোঃ আবদুল্লাহ, তানজিদ,সানজিদ,আরাফাত, আরিফ। মাহফিলে বক্তারা বলেন, হজরত আদম (আ.) যখন মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন তখন আল্লাহর দরবারে শেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলেন নবী মুহাম্মদ (স.)। ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ নবীর জন্মদিনের আনন্দ উৎসব।
পৃথিবীর যে কোনো মানুষের মৃত্যুই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে। কিন্তু মহানবী (স.) এর মৃত্যু মানবসমাজ ও সভ্যতার কোনো পর্যায়ে শূন্যতার সৃষ্টি করেনি। যদিও তাঁর মৃত্যুর চেয়ে অধিক বেদনাদায়ক কোনো বিষয় উম্মতের জন্য হতে পারে না। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমত হিসেবে। রবিউল আউওয়াল মাস এলে মিলাদ মাহফিল আয়োজনের ধুম পড়ে যায়। কিন্তু রাসুল (স.) যে আদর্শ দিয়ে একটি বর্বর জাতিকে আদর্শ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো ফুটতে থাকা একটি সমাজকে শান্তির সুশীতল ছায়াতলে এনে দিয়েছিলেন, সেই মহান আদর্শে উত্তরণের কোনো চিহ্ন এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি মহানবীর (স.) এর আদর্শ চর্চার প্রয়োজন।শেষে মিলাদ কিয়াম, দোয়া ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।