চট্টল সময় ডেক্স ঃ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়ে এখন দখলদদার ইসরাইলী বাহিনী পালানোর পথ খুঁজছে। বর্র্বর ইসরাইলী বাহিনী বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত প্রতিরোধ যোদ্ধারা কৌশলী হামলা চালিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলী বাহিনীর যুদ্ধযান ধ্বংস করছে। গণহত্যায় জড়িত ইসরাইলী বাহিনীর সদস্যদের খতম করছে। সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধে লিপ্ত সামরিক বাহিনী ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের হামলায় ১৫ ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে। ওই ব্রিগেড শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আল-কাসসাম যোদ্ধারা একটি জটিল অভিযানে অংশ নিয়ে প্রথমে ইসরাইলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যানে আল-ইয়াসিন ১০৫ শেল দিয়ে আঘাত হানে। এরপর তারা একটি ঘরে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করা ১২ ইসরাইলি সৈন্যর ওপর টিবিজি শেল দিয়ে হামলা চালায়। এসব হামলায় সব সৈন্য নিহত অথবা আহত হয়।’
উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় এসব হামলা হয় জানিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এ সময় হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া তিন ইসরাইলি সেনা কোনোমতে একটি মেরকাভা ট্যাংকের দিকে দৌড়ে পালাতে থাকলে উচ্চ বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বোমা নিক্ষেপ করে তাদেরকেও ঘায়েল করা হয়।’তবে এসব ক্ষয়-ক্ষতির কথা এখনো স্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল।
উত্তর গাজায় গত কয়েক সপ্তাহের ইসরাইলি ভয়াবহ আগ্রাসনের মুখে নিজেদের অভিযানের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। উত্তর গাজায় গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত এক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হতভাগ্য এসব মানুষের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
এর আগে সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, গত অক্টোবর মাসে গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ লেবাননে তাদের ৬২ সেনা নিহত হয়েছে। গাজা যুদ্ধে একমাসে নিহতের দিক দিয়ে এটি ইসরাইলি সেনাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে গাজায় ১১০ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছিল। খবর সূত্র : পার্সটুডে