চট্টল সময় ডেক্স ঃ
গ্রামীণ জনপদে ব্যবসায়ীরা কাঁচা পাকা সুপারি সংগ্রহ করে মাটি নিচে বড় বড় পাত্র বসিয়ে অথবা মাটির গর্তের ভিতর পানিতে ভিজিয়ে সংরক্ষণ করে। কিছুকাল এসব পাত্র ও গর্তের পানিতে মজানো সুপারি উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। সুপারি মজানোর এই গর্তের ভিতর পড়ে মারা গেল দুই ভাই শফি সওদাগর ও শহিদুল্লাহ। তারা দুজন সুপারি ব্যবসায়ী।একই সাথে গর্তের ভিতর গুরুতর অসুস্থ হয়েছে আরো তিনজন। তারা চিকিৎসাধীণ আছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে।
জানা যায় শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিহত দুই ভাইসহ গর্তের ভিতর সুপারি উঠাতে ওই গতে নেমেছিলেন।সুপারি পঁচা পানিতে সৃষ্ট দুগন্ধযুক্ত গ্যাস তাদের দম বন্ধ হতে থাকলে তারা চিৎকার করতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন থেকে লোকজন।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই আমরা। ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। এর আগেই স্থানীয় লোকজন ৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় আরো যে তিনজন চিকিৎসাধীণ আছেন তারা হচ্ছে তৌহিদ, শফি ও করিম।
স্থানীয়রা বলেছেন গর্ত থেকে আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধার করে নাজিরহাট একটি হাসপাতালে নেয়া হলে শফি সওদাগর ও শহিদুল্লাহকে মৃত ঘোষনা করে। অপর তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেছেন বাড়ির আঙিনায় ১২-১৫ ফুট গভীর চৌবাচ্চা করে তাতে কাঁচা সুপারি ভিজিয়ে রাখা হতো। ওই পানি ছিল বেশ দুর্গন্ধযুক্ত। ধারণা করা হচ্ছে হতাহতরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।