
চট্টল সময় আন্তর্জিতক ডেক্স :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের অন্তরে এক বৈঠকের পর গাজায় জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ এক বৈঠকের পর গাজায় জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ‘মানবিক করিডর এবং যুদ্ধ বিরতির‘ আহ্বান জানাতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমা নিক্ষেপের বর্বরতায় গত ১৯ দিনে গাজায় হাজার
হাজার নারী শিশুসহ নিরহ মানুষ হত্যা করেছে ইসরাইলের ঘাতক বাহিনী।
নিবিচাের এই হত্যাযজ্ঞে বিশ্ববাসির ক্ষোভ বাড়তে থাকায় এবার বুকে কাঁপন ধরেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মাঝে। জর্ঘন্য এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিশােধ নেয়ার সংকল্পে যখন সারা দুনিয়া মানুষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তখন ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর গাজায় জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ‘মানবিক করিডর এবং যুদ্ধ বিরতির‘ আহ্বান জানাতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
এর আগে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান সতর্ক করে বলেছিলেন, গাজায় ত্রাণ খুবই স্বল্প পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে। এই সর্তকতার পর সর্বশেষ গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আরো ১২টি ট্রাক ঢুকেছে। তবে সেখানে কোনো জ্বালানি পৌঁছতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনি।
হামাস এর দেয়া ঘোষনা অনুসারে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমা নিক্ষেপে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে অন্তত
৫০ জন নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামলার জের ধরে তাদের জিম্মি করা করেছিল হামাস।
হামাসের পরিচালিত স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয় বলেছে, ৭ অক্টোবর (শনিবার) যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত গাজায় সাত হাজার মানুষ মারা গেছে।
ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বেনি গ্যানটজ বলেন, গাজায় যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরাইল নিজেদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে এবং সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
তেল আবিবে গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের স্বজনেরা বিক্ষোভ করেছেন। সে সময় তারা জিম্মিদের উদ্ধারে সরকারকে আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।