আধিপত্য্ বিস্তার নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৭০ জন

চট্টল সময় ডেক্স ঃ

আধিপত্য্ বিস্তার নিয়ে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির দুই  গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটটনা ঘটে স্থানীয় বিএনপির  সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলমের সমর্থকদের মধ্যে ।বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। এই ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের লোকজন।  স্তানীয়রা জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎৎপর ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও  এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 

 

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর আলম সোহাগের দাবি, সংঘর্ষে তাদের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষ গ্রুপের খুরশিদ আলমের সমর্থকদের দাবি, তাদের ৪০ জন আহত হয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।  আহতদের মধ্যে আছে  আসিফুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, নুর করিম, নুর আলম, ইব্রাহিম, এনায়েত হোসেন, ওমর হাসান জিসান, আবুল কাশেম, রাহাতুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবুল কালাম ও কামরুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, রহমত উল্যাহ শাহিন, ওসমান গণি জিহাদ, নুর ইসলাম সম্রাট, জাহেদুল ইসলাম রুবেল, এবিএস মারুফ ও নুর আলম রিয়াদ। অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন অন্যান্য স্থানে।।

 

 

জানা যায়, সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজ ও রায়হানের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের দিয়ে হামলা করার অভিযোগ বিএনপির একটি পক্ষের বিরুদ্ধে।এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাজী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ করে যুবদল নেতা খুরশিদ আলম ভূঞার সমর্থকরা।

 

সেই সমাবেশের প্রতিবাদে বুধবার পাল্টা সমাবেশ  ডাকে সেন্টুর সমর্থকেরা। তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিকেলে সোনাগাজী বাজারের পশ্চিম পাশে যেতেই খুরশিদের সমর্থকেরা মিছিলে হামলা করে বলে  অভিযোগ । এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর ফাহিম জানান, সেনাবাহিনী দুই পক্ষকে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে

। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email

সম্পর্কিত