
চট্টলার সময় ডেক্স.
কোরবানীর বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরী করা গরু নিয়ে চরম উৎকন্ঠার রয়েছে রাউজানের মানুষ। কোনো না গ্রাম থেকে চুরি হচ্ছে গরু। সামাজিক মাধ্যম ফেইজবুকে ছড়িয়ে পড়া সিসি ফুটেজে দেখা যায় রাতের আঁধারে মানুষের গোয়াল থেকে চুরি করে নেয়া গরু কোনো সময় ট্রাকে আবার কোনো সময় টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক বলেছেন গত দুই মাসে এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১০ থেকে ১৫টি গরু চুরি হয়েছে। গ্রামের অনেকেই লাভের আশায় চড়া সুদে দাদনাশক নিয়ে
ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিগত ১-২ মাসের ব্যবধানে একাধিক বাড়ি ও খামার থেকে গরু চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গবাদি পশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা।
ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিগত ১-২ মাসের ব্যবধানে একাধিক বাড়ি ও খামার থেকে গরু চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গবাদি পশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে চোরের দল চহুর কাজীর বাড়ির ওছমানের বাড়ি থেকে ১টি, মাওলানা হোসনেজ্জামার বাড়ি থেকে ১টি, আবদে মোস্তফার ১টি, একই বাড়ির জসিম উদ্দীন দুলালের ১টি, ঠাকুর চাঁদ চৌধুরীর বাড়ির মোঃ ফিরোজের খামার থেকে ৪টি, কামদর আলী চৌধুরীর বাড়ির আবু আহমদের ১টি এবং নুর উদ্দীনের ২টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও, খোশাল চৌধুরী বাড়ির জমির সওদাগরের ৪টি গরু ও বাকপ্রতিবন্ধী নুরুল আলমের ২টি গরু চুরির ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চোরেরা এখন পরিকল্পিতভাবে বড় খামারগুলোকেও টার্গেট করছে। ফলে খামারিরা রাতের ঘুম হারাম করে গরুর খামার পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব চুরির ঘটনার পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে। তারা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে সজাগ দৃষ্টি ও কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছেন। নতুবা এই চুরি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকা বাসী।
ReplyForward
Add reaction
|