প্রেমে প্রতারিত হয়ে রাউজানে  যুবতির আত্মহত্যা

রাউজান নিউজ ডেক্সঃ
এক বিয়ে অনুষ্ঠানে রাউজান পৌরসভার ছিটিয়া পাড়ার নুরুল আবসারের ছেলে কাপড়ের দোকানের কর্মচারী সাহেদের (২৪) সাথে পরিচিত হয়েছিল রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হেদায়েত আলী মুন্সির বাড়ির যুবতি লিজা আকতারের(১৮)।  এরপর পর দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। হতে থাকে ম্যাসেঞ্জারে বার্তা আদান প্রদান। উপজেলা সদরে ফকিরহাটে দেখা স্বাক্ষতে সাহেদ লিজাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল বিয়ে করার।
এই সম্পর্ক বেশ কিছু সময় গড়ালে লিজা সাহেদকে স্মরণ করিয়ে দেয় বিয়ের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি। কিন্তু সাহেদ নানা অজুহাতে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বার বার সময়ক্ষেপন করছিল। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা সৃষ্টি হয়। লিজা বুঝতে পারে তার সাথে সাহেদ এতদিন প্রেমের ছলনা করেছে। সম্পর্কের তিক্ততার মধ্যে লিজা গত ৪ জুন বুধবার রাতে ফোন করে রাগারাগি করে। মানষিক অশান্তির মধ্যে সাহেদকে জানিয়ে দেয় সে আর বাঁতে চায় না। আত্মহত্যা করে জীবন বিষর্জন দেবে।
সর্বশেষ তাদের মধ্যে এই কথোপোকনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার ৫ জুন লিজা সাহেদের মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে ছবি ও বার্তা পাঠিয়ে লিখে ভালো থেক। বার্তা পাঠিয়ে সে ঘরের একটি কক্ষের ভিতর থেকে ছিটকেনি লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওরনা পেছিয়ে ফাঁসীতে ঝুঁলে পড়ে।
জানা যায় ঘরের ভিতর লিজার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় বাড়ির এক নারী। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজনসহ লিজার বোন দৌড়ে এসে আহাজারী  করতে থাকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙ্গে  ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সুরুতহাল রির্পোটের পর ময়নাতদন্তে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। জানা যায় আত্মহননকারী লিজার মা- বাবা কেউ বেঁচে নেই। মৃত দুই দম্পতির পরিবারে চার কন্যা সন্তানের মধ্যে আগে দুইজন মারা যায়।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেছেন লাশ ময়না তদন্তে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করে দেখছে ।
Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email

সম্পর্কিত