
চট্টল সময় ডেক্স ঃ
চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাট এলাকায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে রাউজানের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছে। ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল চারটায় এই ঘটনায় অপর এক ব্যক্তিও গুলি বিদ্ধ হয়েছে। গাড়ির ভিতর ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হাকিম(৬০)। তিনি রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের আলী মদনের ছেলে।
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে হাটহাজারী উপজেলা এলাকায় মদুনাঘাটের ওয়াসা পাম্পের কাছে। ওই সময় নিহত হাকিম আলী নিজের প্রাইভেট গাড়ি করে বাড়ি থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। সূত্র মতে সন্ত্রাসীরা তাকে আগে থেকে টার্গেট করে রেখেছিল। কয়েকটি মোটরসাইকেলে খুনিরা এসেছিল হেলমেট পড়ে। হাকিমের গাড়িটি তাদের নিশানায় আসামাত্র সন্ত্রাসীরা গাড়ির পাশে গিয়ে চালককে থামতে সংক্ষেত দেয়। চালক সংক্ষেত না মেনে সামনের দিকে এগুনোর সময় সড়কে যানজটে আটকে পড়ে হাকিমের গাড়ি। এসময় সন্ত্রাসীরার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এসময় গাড়ির সামনের গ্লাস ফুটো হয়ে হাকিমের বুকে গুলি লাগে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের মিশন শেষ করে মোটরসাকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দুই শত গজ দুরে মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ী। গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে সন্ত্রাসীরা মিশন শেষ করে চলে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা হাকিমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় নগরের এভারকেয়ার হাসিপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় গুলিতে আহত গাড়ি চালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা যায়।
এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর রাউজানের বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল করে। তারা নোয়াপাড়া পথের হাট ও মুন্সির ঘাটায় হাকিমের খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে সমাবেশ করে। এসময় সড়কের টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় সড়কের যানজট। অবশ্য পরে পুলিশ এসে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
জানা যায় এক ছেলে দুই কন্যা সন্তানের জনক হাকিম আলী। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃতে বিএনপি’র রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় হন।