
চট্টল সময় ডেক্স.
মাইজভান্ডার শরীফে জেয়ারত শেষে সিএনজি টেক্সিতে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের ব্যাগ ফেরত দিলেন রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের বাবুচি মোহাম্মদ মোহাম্মদ শফি।
জানা যায় গত ১৪ অক্টোবর সোমবার মাইজভান্ডার দরবার শরীফ থেকে সকালে বাড়ি ফেরার পথে আজাদী বাজার (ফটিকছড়ি) অতিক্রম কালে সড়কে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন শফি। তখন টেক্সি থেকে নেমে ব্যাগটি কুড়িয়ে নেন। রাউজান মুন্সিরঘাটায় টেক্সি থেকে নেমে তিনি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে মালিকের সন্ধান করেন।
না পেয়ে তিনি ব্যাগটি নিয়ে বাড়িতে এসে রাতে কৌতুহলী হয়ে সেটি খুলে দেখেন। এসময় ব্যাগের দেখেন একটি স্বর্ণের লকেটসহ চেইন,কানদুল জোড়া। সাথে ছিল কিছু ঔষধ ও কাপড়। এসব জিনিষ দেখে তিনি ব্যাগের মালিকের সন্ধান পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। রাতেই নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে মালিকের সন্ধান পেতে ফেইজবুকে একটি পোস্ট দেন। তার পোস্টটি শেয়ার করেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টটি নজরে আসে ব্যাগের মালিকের। সাথে সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন বাবুচি শফির সাথে।
এই যোগাযোগের সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালিক রাউজানের উত্তর সর্তা গ্রামের ফেরদৌস বেগম তার ছেলেকে নিয়ে ব্যাগটি নিয়ে যান। এসময় ফেরদৌস বেগমের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল বলেছেন তার মা হাটহাজারীর একটি বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজের অজান্তে ব্যাগটি হাত থেকে ব্যাগটি রাস্তায় পড়েছিল। বাবুচি শফি বলেছেন দাবিদারের কথার সাথে ব্যাগের ভিতর থাকা জিনিষপত্রের মিল পাওয়ায় ব্যাগের প্রকৃত মালিক সনাক্ত করা হয়েছে। যার জিনিষ তার হাতে বুঝিয়ে দিতে পারায় তিনি খুশি বলে জানান। গতকাল সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া পথেরহাটে স্থানীয় সাংবাদিকগণের উপস্থিতিতে স্বর্ণালংকার,জিনিষপত্রসহ ব্যাগটি মালিকের হাতে হস্তান্তরকালে শফির সাথে উপস্থিত ছিলেন তার বড় ভাই শাহ আলম, সাংবাদিক এস এম ইউসুফ উদ্দিন, সোহেল রানা, জুয়েল সিকদার, মো. সাকিব প্রমুখ