
মীর আসলাম.
চট্টগ্রাম পল্লী বিদুৎ সমিতি-২ এর কর্মচারীদের তিন দিনের টানা অনুপস্থিতিতে রাউজানসহ সমিতির ভৌগলিক এলাকায় জরুরী সেবা প্রার্থী গ্রহকদের অনেকেই বিদ্যুৎহীণ আবস্থায় রয়েছে। জানা যায় সমিতির কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগদিতে ঢাকায় চলে গেছে। বিশেষ করে জরুরী সেবাদানকারী টেকনেশিয়ানরা কর্মস্থলে না থাকায় বিভিন্ন বিদ্যুৎ লাইনের ত্রæটি জনিত সমস্যায় পড়া শত শত গ্রাহক বিদ্যু হীণ অবস্থায় অসহনীয় দুর্ভোগে রয়েছে। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্যক্রম বিস্তৃত রাউজান,ফটিকছড়ি,রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জুড়ে। এই সমিতির আবাসিক,বানিজ্যিক,শিল্প শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় চার লাখ।
১৩ শত ৪৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই সমিতির আওতাধীণ বিভিন্ন এলাকার সমস্যা আক্রান্ত জনসাধারণের অভিযোগ বিদ্যুৎ লাইনের ত্রæটি জনিত কারণে গত তিনদিন ধরে তারা অন্ধকারে রয়েছে। এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কয়েকদিন ধরে চলমান বিরূপ আবহাওয়ায় বিভিন্নস্থানে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে।
কোনো কোনো স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে আবার কোনো গ্রামে ট্রান্সফরমার ক্রুটির কারণে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। অভিযোগকারীরা বলেছেন চলমান দুর্ভোগপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে গ্রহকরা জরুরী সেবা সার্ভিসে ফোন করেও কাউকে পাচ্ছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় তিন উপজেলায় ৫৬৬ জন জনবল নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই সমিতি। সমিতির প্রধান কার্যালয় রয়েছে রাউজানে। এই উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের খলিফার ঘোনা গ্রামের প্রবাসী ইফতেহার হোসেন অভিযোগ করেছেন তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই গত তিন দিন থেকে। খুঁটি তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে থাকলেও পল্লী বিদ্যুৎ এর অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। গত তিন দিনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া হয়নি। ফ্রিজ কম্পিউটার চলছে না।
পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক জীন্নাত আলী বলেছেন তাদের গ্রামের একটি পাড়া তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। সমিতির সেবা কাজে নিয়োজিত টেকনেশিয়ানগণ কেউ অভিযোগ কেন্দ্রে নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে গ্রাহকগণ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছে রাউজান,রাঙ্গুনীয়া ও ফটিকছড়ির বিভিন্ন গ্রামের অনেকেই। বিরাজমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এলাকার গ্রাহকসাধারণ বলেছেন সমাগত পবিত্র ঈদুল আযহা। রয়েছে সম্ভাব্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। তারা মনে করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়তে পারে।
এই বিষয়ে মুঠো ফোনে কথা বললে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহাব্যবস্থাপক মো ঃ মামুন অর রশীদ বলেন সেবাদানকারী কর্মচারীগণ তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঢাকা চলে যাওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। একারণে জরুরী সেবা কাজ চলানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন সৃষ্টি জটিলতার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রহকগণের কখন মুক্তি মিলবে এই প্রশ্নের উত্তরে এই কর্মকর্তা বলেন এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে পাচ্ছেন না।