চট্টল সময় ডেক্স.
আওয়ামী সরকারের আমলে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কাস পার্টি। এই দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সৎ রাজনীতিক দাবি করে আসা এই দলের শীষ নেতা মেনন আওয়ামীলীগের পরশ পেয়ে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুসারে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এই অভিযোগে তদন্তে নেমে বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা যায়।
আওয়ামীলীগের সাথে জোট বেঁধে বিশাল সম্পদ গড়ে তোলা রাশেদ খান মেনন রমনা, মতিঝিল ও সবুজবাগ থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামীলীগে সররকারের আমলে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এবং বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর। ওই সময়ে ছিলেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতির পদেও।
জানা যায় গত ২২ আগস্ট গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে সৎ রাজনীতিকের ছদ্মাবরানে এই তিনি ঘনিষ্টজনদের ব্যবহার করে তার পরিচালনায় থাকা বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বাণিজ্য, এলাকায় মাদক ব্যবসা, অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসায় নেপথ্যে থেকে জড়িত ছিলেন। এসব অবৈধ বানিজ্য থেকে এই নেতা দেশ বিদেশে ওই সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রির্পোটে জানা যায় রাশেদ খান মেননের অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে লন্ডনে ২৫টি বাড়ি, কানাডায় স্ত্রীর নামে ৫টি বাড়ি ও আমেরিকায় ২টি বাড়িসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার। গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ও বানানীতে ২টি ফ্ল্যাটসহ ঢাকার বাইরে হাজার বিঘা জমি। তার নিকট আত্মীয় স্বজনের নামে দেড় হাজার কোটি টাকা ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন বলে জানা গেছে। তার ভাই, সন্তানদের নামেও রয়েছে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি ও বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর। যার পরিমাণ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বলে পত্রিকার রির্পোটে প্রকাশ পেয়েছে।