চট্টল সময় ডেক্স.
রাউজানের আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাউজানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ সিরাজুল ইসলাম পিপিএম বলেছেন তারা এই উপজেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। পুলিশের পরিচালিত অভিযানে সন্ত্রাসী ধরা পড়ছে।
অস্ত্র,গুলি উদ্ধার করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে পাচারকারী ধরছেন। জব্দ করা হচ্ছে বস্তায় বস্তায় মদ। ১৩ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতিনিময়কালে তিনি বলেন, রাউজানে সব হত্যা মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। ৯টি হত্যা মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামী গ্রেপ্তার আছে, অপরাধীরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সব হত্যাকাণ্ড অনাকাঙ্কিত উল্লেখ করে বলেন হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশি টহল বৃদ্ধি, চেক পোস্ট বসানো, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার তৎপরতা চলমান রয়েছে। যে কোনো মূল্যে রাউজানের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আসছে পুলিশ। জানান ৫ আগস্ট পরবর্তী ১৫টি এলজি, ২টি রিভলভার, ৩টি বিদেশী পিস্তল, ২টি রাইফেল, ১টি এক নলা বন্দুক, একটি দুই নলা বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৯৬ রাউন্ড গুলি, ২৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। জানান বিভিন্ন স্থানে এই পর্যন্ত ১২টি গুলি বিনিময়ের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
তার দাবি এসব ঘটনায় ৭জন আহত হয়েছেন, ৪জন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ হত্যাকান্ডের শিকার ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা মামলা নিয়ে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও তিনি জানান। বলেন এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। হত্যাকারীদের কিভাবে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার বেলায়ত হোসেন, রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, রাউজান থানার ওসি তদন্ত নিজম উদ্দিন দেওয়ান, রাউজান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রদীপ শীল, সাবেক সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী জয়নাল আবেদীন যুবায়ের, সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, ইরফাত হোসেন চৌধুরী, তানভীর প্রমুখ।